সাতক্ষীরার আশাশুনির বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন পরর্বতী দূর্গত এলাকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিমিয় সভা সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশাশুনি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুক এর সভাপতিতে মত বিনিময় সভায় নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনের দৃশ্য ও সার্বিক পরিস্থিতির বর্ণনা করনে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্যবৃন্দ।
তারা বলেন আশাশুনির বছিট গ্রামে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ও জনগনের সাথে কথা বলে তারা জানতে পারেন যে, সেখানকার জনজীবন চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। এখানে খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে, মানুষ বেড়ীবাঁধের উপর বসবাস করছে। তাদের খাবার ও পানির কোনো নিশ্চয়তা নাই। রাস্তার উপর ছোট্ট জায়গায় বসবাস করায় রাঁন্না করার জায়গার সংকট, বিশেষ করে নারীরা টয়লটে যেতে পারছে না। নদীর লবন পানি এলাকায় প্রবেশ করায় স্বাদু পানির মাছ মরে গেছে এবং এলাকায় মরা মাছের গন্ধে একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিস্তৃত মাঠের ধানক্ষেত যেন আগুনে ঝলসানো ভূমির মত পড়ে আছে। সবমিলিয়ে একটা নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে আশাশুনি উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত বিছট এলাকা মানুষ বসবাস করছে।
সভার বিশেষ অতিথি মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় এলাকাটিতে প্রতি বছর নদী ভাঙ্গনের ফলে বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসল, মাছ এবং সুপেয় পানির আধার গুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে, তাই এলাকাবাসীর প্রানের দাবী টেকসই বেড়িবাঁধ।
অনুষ্ঠানে জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল বলেন, প্রাথমিক ঝুঁকি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথ ভাবে কাজ করলেও টেকসই বেড়িবাঁধ ছাড়া ঝুঁকি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট শেখ আজাদ হোসেন বেল্লাল প্রমূখ।
খুলনা গেজট/এএজে